২২ জুলাই, ১৯৮৯ তারিখে রোতোরুয়ায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। দলে তিনি মূলতঃ বোলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করে থাকেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
পর্যাপ্ত পেস সহযোগে সুইং বোলিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শনসহ শেষেরদিকের ওভারগুলো পেস ও নিশানা বরাবর বল ফেলে চাতুর্য্যতার পরিচয় দিয়েছেন। ওয়াসিম আকরামের সাফল্যে উজ্জ্বীবিত তিনি। পিচে তাঁর যথার্থ উত্তরসূরী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। নতুন বলে বিশেষতঃ নিউজিল্যান্ডীয় পরিবেশে ভীতিকর বোলিংয়ে অংশ নিয়ে থাকেন। টিম সাউদি’র সাথে বিশ্বের অন্যতম নতুন বলের জুটিরূপে সাড়া জাগান। তাঁরা উভয়েই ২০০৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় একত্রে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। ঐ প্রতিযোগিতায় ৫ খেলা থেকে ১১ উইকেট নিয়ে নিজের সম্ভাবনার কথা জানান দেন। এছাড়াও, ছক্কা হাঁকানোয় বেশ পারদর্শী।
২০০৮-০৯ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রেখেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, দিল্লি ক্যাপিটালস, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পক্ষে খেলেছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত ভারত ‘এ’ বনাম নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান।
জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা জনো’র ন্যায় তিনিও নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেট খেলেছেন। ক্ষুদ্রতর সংস্করণের ক্রিকেটে অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এছাড়াও, আইপিএলে অংশ নিয়েছেন। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং ২০১৭ সালের আইপিএলের আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষে খেলেছেন।
২০১১ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ২০১১-১২ মৌসুমে রস টেলরের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ৯ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখে হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের স্মরণীয় জয়ে যথার্থ ভূমিকা রাখেন। মাইকেল হাসি তাঁর প্রথম শিকারে পরিণত হন। বল হাতে নিয়ে ৩/২৯ ও ১/৫১ লাভ করেন। এছাড়াও, খেলায় তিনি ০* ও ২১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ডেভিড ওয়ার্নারের অসাধারণ শতক সত্ত্বেও স্বাগতিকরা ৭ রানে পরাজিত হলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।
একই মৌসুমে নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ৭ মার্চ, ২০১২ তারিখে ডুনেডিনে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ২১ রান অতিক্রম করেন। একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ৩৩* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৫৮ ও ১/৯৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। প্রতিপক্ষীয় অধিনায়কের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর বদান্যতায় খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
এরপরই সীমিত-ওভারের ক্রিকেটে তাঁর অংশগ্রহণ ঘটে। ১১ জুলাই, ২০১২ তারিখে বাসেতেরেতে অনুষ্ঠিত খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাঁর ওডিআই অভিষেক হয়।
২০১২-১৩ মৌসুমে রস টেলরের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সাথে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ২৫ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সাথে নিজেকে জড়ান। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস এইচএমআরকেবি হেরাথকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৩/২৯। খেলায় তিনি ৪/৪২ ও ৩/৩৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করেছিলেন। ১ ও ৬* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। তবে, দলীয় অধিনায়কের অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে সফরকারীরা ১৬৭ রানে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ করতে সক্ষম হয়।
একই মৌসুমে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১ ও ২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৩/৭৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ভার্নন ফিল্যান্ডারের বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ২৭ রানে পরাজয়বরণ করলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
২০১৩ সালে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সাথে ইংল্যান্ড সফরে যান। ২৪ মে, ২০১৩ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ২৪* ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৫/৫৭ ও ০/২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। গ্রায়েম সোয়ানের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে সফরকারীরা ২৪৭ রানে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
২০১৩-১৪ মৌসুমে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলায় তিনি ১০ উইকেটের সন্ধান পান। টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬/৪০ পান। ঐ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। এরপর, ইডেন পার্ক ও হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ-উইকেট লাভ করেন। খুব শীঘ্রই তাঁকে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা দেয়া হয়।
একই মৌসুমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে বাংলাদেশ সফরে যান। ৯ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৩৩ রান অতিক্রম করেন। একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৫২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবালের প্রথম উইকেট লাভ করে টেস্টে ৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ২/৫০ ও ০/৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সোহাগ গাজী’র অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
দারুণ খেলার সুবাদে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় খলার জন্যে মনোনীত হন। দুই খেলা থেকে চার উইকেট দখল করেন। ক্রাইস্টচার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে সাত উইকেট পান ও দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন। অক্টোবর, ২০১৪ সালে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে তাঁকে দলে রাখা হয়। তবে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাঁকে দলের বাইরে রাখা হয়।
২০১৫ সালে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ২১ মে, ২০১৫ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ০ ও ১০ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে স্টুয়ার্ট ব্রডের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৪/৭৯ ও ৫/৮৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, বেন স্টোকসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে সফরকারীরা ১২৪ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
একই সফরের ২৯ মে, ২০১৫ তারিখে লিডসের হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। বল হাতে নিয়ে ২/৯৮ ও ২/৬১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। বিজে ওয়াটলিংয়ের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে সফরকারীরা ১৯৯ রানে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ করতে সক্ষম হয়। ২৫ রান সংগ্রহসহ ১৩ উইকেট দখল করে ইংরেজ দলনায়ক অ্যালাস্টার কুকের সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ৯ খেলায় অংশ নিয়ে ২২ উইকেট লাভ করে যৌথভাবে সর্বাধিক উইকেট-সংগ্রাহকে পরিণত হন। এরফলে, তাঁর দল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় অবতীর্ণ হয়। ঐ প্রতিযোগিতায় তাঁর দল অপর সহঃস্বাগতিক দেশ অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হলে রানার্স-আপ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তবে, গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫/২৮ লাভ করেছিলেন।
২০১৫-১৬ মৌসুমে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ তারিখে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের এটিই প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ছিল। খেলায় তিনি ২/৪১ ও ৫/৬০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ২* ও ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। জশ হজলউডের চমৎকার বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৩ উইকেটে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।
২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টি২০আইয়ে খেলার সুযোগ না পেলেও পূর্ববর্তী বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের আইপিএল আসরে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০১৭ সালে সাদা-বলের ক্রিকেটে দারুণ খেলেছিলেন।
২০২১-২২ মৌসুমে নিজ দেশে মমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের মুখোমুখি হন। ১১ জানুয়ারি, ২০২২ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে সফররত বাংলাদেশের বিপক্ষে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে মেহেদী হাসানের চতুর্থ উইকেট লাভ করে টেস্টে ৩০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৫/৪৩ ও ০/৪২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, দলের একমাত্র ইনিংসে তাঁকে ব্যাটিংয়ে নামতে না হলেও একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। টম ল্যাথামের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১১৭ রানে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।
২০২২ সালে কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের অন্যতম সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। ১০ জুন, ২০২২ তারিখে নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজ অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১৬ ও ১৭ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৫/১০৬ ও ৩/৯৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, জনি বেয়ারস্টো’র অসাধারণ মারকুটে শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ২৩ জুন, ২০২২ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৪/১০৪ ও ০/৬৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ০* ও ৪ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। জ্যাক লিচের বোলিং বদান্যতায় সফরকারীরা ৭ উইকেটে পরাভূত হলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ খোয়ায়।
২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট অ্যালমেনাক কর্তৃক বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে মনোনীত হন।
