|

নীল ব্রুম

২০ নভেম্বর, ১৯৮৩ তারিখে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ মাঝারিসারিতে ব্যাটিং করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

২০০২-০৩ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রেখেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওতাগো ও ক্যান্টারবারি এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০২ সালে নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৫ সাল পর্যন্ত ঐ দলে খেলে ওতাগো’র পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ঐ দলের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পান। এরপর, ক্যান্টারবারিতে ফিরে আসেন ও এক বছর খেলেন।

আগস্ট, ২০১৫ সালে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন। এরপর, তিনি চুক্তিছিন্ন করেন ব্ল্যাক ক্যাপস দলে পুণরায় যোগদান করেন।

২০০৯ থেকে ২০১৭ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্ট, ৩৯টি ওডিআই ও ১১টি টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছেন। ২০০৯ সালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওডিআই খেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১০ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে সিরিজের চতুর্থ খেলায় তিনি প্রথম খেলেন। ঘরোয়া আসরসহ অভিষেক ওডিআইয়ে দারুণ খেলা প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ টেস্ট দলের সদস্যরূপে তাঁকে যুক্ত করা হয়। ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফিতে অংশ নেন। একই বছর অজি দলের বিপক্ষে টি২০আইয়ে প্রথম খেলার সুযোগ পান। টেস্টে তাঁর ব্যাটিং গড় ১০.৬৬ হলেও অংশগ্রহণকৃত ওডিআইয়ে ২৮.০৯ গড়ে রান সংগ্রহ করেছেন।

ডিসেম্বর, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি ওডিআই গড়া সিরিজে অংশ নেন। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় ওডিআইয়ে নিজস্ব প্রথম শতরানের সন্ধান পান। এ পর্যায়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কেন উইলিয়ামসনের সাথে ১৭৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দ্বিতীয় উইকেটে এটি নিউজিল্যান্ডীয় রেকর্ডে পরিণত হয়। তৃতীয় ওডিআইয়ে ৯৭ রান তুলেন। এরপর, নিউজিল্যান্ডের টি২০আই দলে যুক্ত হন।

২০১৬-১৭ মৌসুমে নিজ দেশে ফাফ ডু প্লিসি নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। মার্চ, ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার উদ্দেশ্যে পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট দলের সদস্য হন। ১৬ মার্চ, ২০১৭ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ০ ও ২০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। কেশব মহারাজের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৮ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

একই সফরের ২৫ মার্চ, ২০১৭ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ১২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। দলীয় অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁকে বাদ দেয়া হয়। এরফলে, অক্টোবর, ২০১৭ সালে ভারত সফরেও উপেক্ষিত হন।

Similar Posts

  • | |

    ক্লিন্ট ম্যাককে

    ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩ তারিখে ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১.৯৪ মিটার উচ্চতার অধিকারী। বেশ নিখুঁত মানসম্পন্ন ও দক্ষতার সাথে ধীরগতির বোলিং করতেন। বেশ ছোটবেলা থেকে ক্রিকেটের সাথে যুক্ত হন। নর্থ ওয়েস্ট ক্রিকেট…

  • | | |

    রড মার্শ

    ৪ নভেম্বর, ১৯৪৭ তারিখে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার আর্মাডেল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, প্রশাসক ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ‘আয়রন গ্লাভস’ কিংবা ‘বাক্কাস’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম থেকে ১৯৮৩-৮৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান…

  • | |

    জোয়েল গার্নার

    ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৫২ তারিখে বার্বাডোসের এন্টারপ্রাইজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রভাব বিস্তারে অন্যতম ফাস্ট বোলার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ক্রিকেট জগতে তিনি জ্যামাইকার জাতীয় পাখী ডক্টর…

  • | |

    ঋষভ পন্ত

    ৪ অক্টোবর, ১৯৯৭ তারিখে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। এছাড়াও, বামহাতে ব্যাটিংয়ে দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিশোর অবস্থাতেই তাঁর মাঝে প্রতিভা বিরাজমান। সর্বদাই উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলার দিকে নজর রাখতেন। ২০১৬ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায়…

  • |

    আবিদ আলী

    ১৬ অক্টোবর, ১৯৮৭ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। পাকিস্তানে পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০০৭ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে বালুচিস্তান, ফেডারেলি এডমিনিস্টার্ড ট্রাইবাল এরিয়াজ, হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামাবাদ, নর্থ ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স-বালুচিস্তান, পাকিস্তান স্টেট ব্যাংক,…

  • |

    গেভিন ব্রায়ান্ট

    ১১ এপ্রিল, ১৯৬৯ তারিখে সলসবারিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। আক্রমণাত্মক ধাঁচে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, কভার অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন ও ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। ১৯৯০-এর দশকে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এক মৌসুম ওরচেস্টারশায়ার দ্বিতীয় একাদশের সদস্য ছিলেন। এরপর, ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে ‘বি’ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড ‘এ’…