৬ ডিসেম্বর, ১৮৭১ তারিখে সারের রিচমন্ড-আপোন-টেমস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
হেইলিবারিভিত্তিক বিদ্যালয় দলের প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পাননি। তবে, ওরচেস্টারশায়ার কোল্টসের পক্ষে এক খেলায় অংশগ্রহণকারী জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হুবার্টের তুলনায় ভালো খেলতেন। ১৮৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ১৯০৩ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে থেমে থেমে ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলতেন। মাঝে-মধ্যে এমসিসি ও আই জিঙ্গারি’র সদস্য ছিলেন। প্রায়শঃই মাইনর কাউন্টির খেলায় শ্রপশায়ারের পক্ষে খেলতে তাঁকে দেখা যেতো।
১৮৯৯ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সব মিলিয়ে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে লর্ড হকের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেন। ১ এপ্রিল, ১৮৯৯ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। হিউ ব্রোমলি-ডেভেনপোর্টের অসুস্থতার সুযোগে ঐ টেস্টে অংশ নেন। ১০ নম্বর অবস্থানে মাঠে নামেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে টেস্ট গড়কে ৩১-এ নিয়ে যান। ঐ টেস্টে তিনি উইকেট-রক্ষণে কিংবা বোলিং করার সুযোগ পাননি। সফরকারীরা ২১০ রানে জয়লাভ করলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
১৮৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ১৯০৩ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে ওরচেস্টার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সব মিলিয়ে ১২টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১১ গড়ে ২৩১ রান ও ১২টি ডিসমিসাল ঘটিয়েছিলেন তিনি।
প্রকৃতপক্ষে শীর্ষ মানসম্পন্ন ক্রিকেটার ছিলেন না। পরবর্তীকালে সফররত ফিলাডেলফিয়া জেন্টলম্যানের বিপক্ষে পিএফ ওয়ার্নার একাদশের সদস্যরূপে উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলেছিলেন। বার্ট কিংয়ের বলে বোল্ড হবার পূর্বে ৪৩ রানের উল্লেখযোগ্য ইনিংস উপহার দেন। বার্নার্ড বোসানকুয়েতের বল দূর্দান্তভাবে গ্লাভসবন্দী করতেন।
১৫ জুলাই, ১৯৩৫ তারিখে সাসেক্সের সীফোর্ড এলাকায় ৬৩ বছর ২২১ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
