২১ জুলাই, ১৮৬৩ তারিখে সিটি অব লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৮০-এর দশকে ইংল্যান্ড দলে খেলেছেন ও দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
চার্লস জন স্মিথ ও সারাহ অ্যান দম্পতির সন্তান ছিলেন। চার্টারহাউজে অধ্যয়ন শেষে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সেন্ট জোন্স কলেজে চিকিৎসাশাস্ত্র বিষয়ে পড়াশুনো করেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতি পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন। কেমব্রিজ থেকে স্নাতকধারী হন। অদ্ভূত কৌণিক দূরত্ব থেকে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন ও তাঁকে ‘রাউন্ড দ্য কর্নার’ ডাকনামে ভূষিত করা হয়। ১৮৮২ থেকে ১৮৯৬ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেছেন। ১৮৮৬ সালে সাসেক্স দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৮৭-৮৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ইংল্যান্ড একাদশ দলকে পরিচালনা করেছিলেন।
১৮৮৯ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় দলকে নেতৃত্ব দেন। মেজর হোয়ার্টনের ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ আফ্রিকায় এমসিসি দলের প্রথম সফরে যান। ১২ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথের জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ফ্রাঙ্ক হার্ন, মন্টি বাউডেন, ব্যাসিল গ্রিভ, চার্লস কভেন্ট্রি ও আর্নল্ড ফদারগিলের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস টেস্টে নিজস্ব প্রথম পাঁচ-উইকেট লাভ করেন। খেলায় তিনি ৫/১৯ ও ২/৪২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ৮ উইকেটে জয়লাভ করলে তাঁর দল দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
ক্রিকেটের চেয়ে হলিউডেই অধিক সময় জড়িত ছিলেন। ক্রিকেট জগৎ ছেড়ে পরবর্তীতে চলচ্চিত্র জগতের দিকে ধাবিত হন। ১৯৪০-এর দশক জুড়ে শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি পান। সফলতম অভিনয় জীবন অতিবাহিত করেন। শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৩০-এর দশকের শুরুতে হলিউড ক্রিকেট ক্লাব গঠন করেন। এছাড়াও, ‘স্যার অব্রে স্মিথ’ স্মিথ নামে পরিচিতি লাভ করেন। ইংল্যান্ডের একমাত্র ক্রিকেট তারকা হিসেবে হলিউড ওয়াক অব ফেমে জায়গা করে নিয়েছেন। ১৯৪৪ সালে অ্যাংলো-আমেরিকান বন্ধুত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ নাইটহুড পদবী লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ১৫ আগস্ট, ১৮৯৬ তারিখে ইসাবেলা মেরি স্কট নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির এক কন্যা ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেভার্লি হিলস এলাকায় ২০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ তারিখে ৮৫ বছর ১৫২ দিন বয়সে নিজ গৃহে তাঁর দেহাবসান ঘটে। লস অ্যাঞ্জেলসের পাইন্স সমাধিক্ষেত্রে তাঁকে সমাহিত করা হয়। আট মাস পর তাঁর দেহভষ্ম ইংল্যান্ডে আনা হলে হোভের সেন্ট লিওনার্ডস সমাধিক্ষেত্রে তাঁর মায়ের সমাধির পাশে রাখা হয়। মৃত্যুকালীন ১,০৩৮ পাউন্ড ১৯ সেন্ট ২ পেনি মূল্যমানের সম্পদ রেখে যান।
