২৫ ডিসেম্বর, ১৯০০ তারিখে সাসেক্সের হার্স্ট গ্রীন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৩০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
উইকেটের পিছনে অবস্থান সকল ধরনের বোলিং সামলাতেন। অন্তরঙ্গ বন্ধু এম. ডব্লিউ. টেটের ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং ও এ. ই. আর. জিলিগানের বল থেকে স্ট্যাম্পিং করে তাঁদেরকে অনেকগুলো উইকেট লাভে পরোক্ষ ভূমিকা রেখেছিলেন। হ্যাস্টিংসের একটি খেলায় অন্যতম আনন্দঘন মুহূর্ত উদযাপন করেছিলেন। এ. এফ. ওয়েনস্লি’র লেগ-সাইডের বল থেকে জে. বি. হবসকে দুইবার স্ট্যাম্পিং করেন ও এছাড়াও টেটের বল থেকে পাঁচটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন।
১৯২১ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্সের পক্ষাবলম্বন করতেন। ১৯২১ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে পেশাদারী পর্যায়ে দলটির পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলতেন। তবে, ব্রায়টন কলেজের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন ১৯৪৭ সালে অতিজরুরীভিত্তিতে ব্রেন্টউডে অনুষ্ঠিত খেলায় এসেক্সের বিপক্ষে খেলার জন্যে আহুত হয়েছিলেন।
১৯২৫ সালে ফোকস্টোনে জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের মধ্যকার প্রথমবারের মতো খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯২৮ সালে ওরচেস্টারে অনুষ্ঠিত খেলায় ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে খেলায় আটটি উইকেট পতনের সাথে নিজেকে জড়ান। তন্মধ্যে, চারটি ক্যাচ ও সমসংখ্যক স্ট্যাম্পিং করেছিলেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অন্যতম খর্বাকায় উইকেট-রক্ষকের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁর উচ্চতা পাঁচ ফুটেরও কম ছিল। সব মিলিয়ে কাউন্টি দলটির পক্ষে ৬৩৯টি কট ও ৩১৪টি স্ট্যাম্পিংসহ ১৪.৬১ গড়ে ৬৩২৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ১৯২৮ সালে ইস্টবোর্নে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৮২ রান তুলেছিলেন। এ পর্যায়ে জেমস ল্যাংগ্রিজের সাথে ৮৩ ও কে. এস. দিলীপসিংজী’র সাথে ১১১ রানের জুটি গড়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে, ২৯৮ রানের ফলো-অনে নিপতিত সাসেক্স দল পরাজয় এড়াতে সক্ষম হয়। ১৯৩৪ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনীত হন ও £১,২০০ পাউন্ড-স্টার্লিং লাভ করেন।
১৯৩০-৩১ মৌসুমে ইংল্যান্ডের পক্ষে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। সবগুলোই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে এ. এইচ. এইচ. জিলিগানের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সাথে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১০ জানুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। স্মর্তব্য যে, এটিই নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম খেলা ছিল। হ্যারল্ড জিলিগান, মরিস অলম, মরিস টার্নবুল, স্ট্যান নিকোলস ও স্ট্যান ওয়ার্থিংটনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। পাশাপাশি, একটি ক্যাচ ও সমসংখ্যক স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়ান। সফরকারীরা ৮ উইকেটে জয় পেলে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১০ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ১৮ ও ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ ও একটি গ্লাভসবন্দীকরণে অগ্রসর হন। ঐ টেস্টের এক ইনিংসে সর্বাধিকসংখ্যক অতিরিক্ত রান দিয়ে অমর্যাদাকর রেকর্ডের সাথে নিজেকে জড়ান। চতুর্থ ইনিংসে ৫৭টি অতিরিক্ত রানের মধ্যে ৩১টি বাই, ১৬টি লেগ-বাই ও ১০টি নো-বল হয়েছিল। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। এ সফরে আঠারোটি খেলা থেকে ৩৫জন ব্যাটসম্যানকে বিদেয় করেছিলেন।
৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৪ তারিখে সাসেক্সের এম গ্রোভ এলাকায় অবস্থিত ব্রাইটন হাসপাতালে ৬৩ বছর ৪৩ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
