| |

অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা

৬ অক্টোবর, ১৯৭৫ তারিখে ইয়র্কশায়ারের ব্রাডফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। ২০০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

‘গ্রীপার’ ডাকনামে ভূষিত অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। ইয়র্কশায়ার মার্টিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। জিসিএসই নবম গ্রেড বিটিইসি ন্যাট ডিপ লেজার স্টাডিজে সনদধারী। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৯৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ১৮ মে, ১৯৯৫ তারিখে ব্রাডফোর্ড পার্ক অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত ইয়র্কশায়ার বনাম গ্ল্যামারগনের মধ্যকার খেলার মাধ্যমে তাঁর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ২০ জুলাই, ১৯৯৯ তারিখে কাউন্টি ক্যাপ লাভ করেন। ২০০৩ সালে দলের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। তবে, দলসহ টেস্ট ক্রিকেটে যথাযথ মনোনিবেশ ঘটাতে না পারার বিষয়টি উপলব্ধি করায় এ দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত থাকেন।

শক্তিধর, মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটের চতুর্পার্শ্বে শট খেলতে পারঙ্গমতার পরিচয় দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে, ইয়র্কশায়ারের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদা পেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে ১৫৫ খেলা থেকে ২১ শতক সহযোগে ৩৯.১৮ গড়ে ৯২০৯ রান তুলেন। ২০০৪ সালে ডার্বিতে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭৪ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, ৩৪.৭৮ গড়ে ৮৯ উইকেট দখল করেন। ২০০৪ সালে ডার্বিতে একই দলের বিপক্ষে ৫/৩৯ পান। ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন ১১০টি। ২০০৭ সালে কাউন্টির প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়দের দশ হাজার রান সংগ্রাহকের বর্ণাঢ্যময় তালিকায় যুক্ত হন।

২০০৩ থেকে ২০০৪ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে মাত্র চার টেস্ট ও চৌদ্দটি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০০৩ সালে নিজ দেশে হিথ স্ট্রিকের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ীয় দলের মুখোমুখি হন। ২২ মে, ২০০৩ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। বিখ্যাত ক্রিকেটার জেমস অ্যান্ডারসনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৬৯ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৩/১৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, মার্ক বুচারের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৯২ রানে পরাভূত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

২০০৩ সালে নিজ দেশে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ৩১ জুলাই, ২০০৩ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১৯ ও ৭০ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/১৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান।   তবে, মাখায়া এনটিনি’র দূর্দান্ত বোলিংশৈলী ও দলীয় অধিনায়কের অসাধারণ দ্বি-শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৯২ রানে পরাজিত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আরও সেরা ব্যাটসম্যানে পরিণত হন। কয়েক বছর সেরা ছন্দে অবস্থান করেন। বোলিংয়ে উত্তরোত্তর উন্নতির কারণে নিজেকে প্রকৃত মানসম্পন্ন অল-রাউন্ডার হিসেবে পরিচিতি ঘটান। কিছু সময় ইয়র্কশায়ারের বোলিং আক্রমণে আঁটোসাঁটো বোলারের পাশাপাশি থিতু হয়ে আসা জুটি ভাঙ্গার ক্ষেত্রেও বিরাট ভূমিকা রাখতেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। সিনিয়র কোচিং পুরস্কার লাভ করেন। ২০ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে ক্রিস সিলভারউডের পরিবর্তে তাঁকে এসেক্সের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এর পূর্বে ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে তাঁকে এসেক্সের সহকারী কোচ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। ১১ জানুয়ারি, ২০২২ তারিখে বার্বাডোস সফরে অ্যালান রিচার্ডসন ও পল টুইডলের সাথে তাঁকে কোচ হিসেবে মনোনীত করা হয়।

Similar Posts