|

অন্তাও ডি’সুজা

১৭ জানুয়ারি, ১৯৩৯ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গোয়ায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

পাকিস্তানের ক্রিকেটের ইতিহাসের শুরুরদিকের অন্যতম ফাস্ট বোলার। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৬-৬৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ও পেশাওয়ার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ৬১টি প্রথম-শ্রেণীর খেলা থেকে ১৯০ উইকেট দখল করেন ও ওভারপ্রতি ২.৫৩ রান খরচ করেছিলেন।

১৯৫৯ থেকে ১৯৬২ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে ছয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে নিজ দেশে জেরি আলেকজান্ডারের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৯ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। ইজাজ বাটের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরফলে, স্বল্প কয়েকজন অ-মুসলিম ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের গৌরব অর্জন করেন। খেলায় তিনি ২/৫০ ও ০/২৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

১৯৬২ সালে জাভেদ বার্কি’র নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৬ আগস্ট, ১৯৬২ তারিখে ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে অংশ নেন। ২/১১৬ ও ০/৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ১০ উইকেটে জয় পেয়ে স্বাগতিকরা ৪-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। এ সফরে বিস্ময়করভাবে তিনি ৫৩ গড়ে রান পেয়েছেন। ছয় ইনিংসের পাঁচটিতেই অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করেছিলেন।

অংশগ্রহণকৃত টেস্টগুলো থেকে ১৭ উইকেট দখল করেন ও মাত্র ৭৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ভারতের সদাশিব শিন্দের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর ব্যাটিং গড় সংগৃহীত সর্বোচ্চ রানের চেয়েও অধিক ছিল। এছাড়াও, ওয়ালিস ম্যাথিয়াসের পর দ্বিতীয় গোয়ানীয় হিসেবে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দেশ স্বাধীন হবার পর তাঁর পিতা পাকিস্তানে চলে যান। ১৯৯৯ সালে পরিবারকে নিয়ে কানাডায় বসবাস করছেন।

Similar Posts

  • | |

    কার্ল রেকেম্যান

    ৩ জুন, ১৯৬০ তারিখে কুইন্সল্যান্ডের ওন্ডাই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও রাজনীতিবিদ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দলীয় সঙ্গীদের কাছে ‘মক্কা’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। শক্ত মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন। নিজের সময়কালে অন্যতম কার্যকর ফাস্ট বোলার হিসেবে পরিগণিত হয়েছিলেন। ব্যাটসম্যানদের…

  • | |

    ডেভিড ওয়ার্নার

    ২৭ অক্টোবর, ১৯৮৬ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্যাডিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে লেগ-ব্রেক কিংবা ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। অসাধারণ ফিল্ডিং করে থাকেন। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিধ্বংসী ও ক্ষীপ্রতা সহকারে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হয়ে থাকেন। হাওয়ার্ড ওয়ার্নার…

  • | | |

    বব ওয়াট

    ২ মে, ১৯০১ তারিখে সারের মিলফোর্ড হিদ হাউজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী শৌখিন ও বিখ্যাত ক্রিকেটার এবং প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কভেন্ট্রিভিত্তিক রাজা অষ্টম হেনরি স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন রয়্যাল এয়ার ফোর্সের পাইলট অফিসার হিসেবে…

  • |

    ডেনিস ডায়ার

    ২ মে, ১৯১৪ তারিখে নাটালের বেরিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ১৯৪০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। দীর্ঘাকায় গড়ন ও সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন। অসম্ভব ধৈর্য্যশক্তির অধিকারী হিসেবে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। তবে, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পাল্টা…

  • | | |

    বেঙ্কটপতি রাজু

    ৯ জুলাই, ১৯৬৯ তারিখে অন্ধ্রপ্রদেশের আলামুরু এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, রেফারি ও প্রশাসক। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বামহাতি স্পিনার ছিলেন। ‘মাসেলস’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। মনিন্দার সিংয়ের যোগ্য পূর্বসূরী ছিলেন। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুম থেকে ২০০৪-০৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী…

  • | |

    আর্নি হেইস

    ৬ নভেম্বর, ১৮৭৬ তারিখে লন্ডনের পেকহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। দলে মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। স্লিপ অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডিং করতেন। ঘরোয়া পর্যায়ের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার ও সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, লন্ডন কাউন্টির পক্ষে খেলেছেন। নিজের দিনগুলোয়…