২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে সেন্ট ভিনসেন্টে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ২০১০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
পাড়ার ক্রিকেটে অংশ নিতেন। ২০০০ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, সেন্ট লুসিয়া জুকস, সাউদার্ন উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস, সেন্ট ভিনসেন্ট এন্ড দ্য গ্রেনাডিয়ান্সের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম থেকে ২০১৬-১৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ২০১৪ সালে ঘরোয়া পর্যায়ের চার-দিনের প্রতিযোগিতায় শীর্ষ বোলারের পরিণত হয়েছিলেন।
২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন। ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে ঘোষিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দলে তাঁকে গোড়ালীতে আঘাতপ্রাপ্ত কেমার রোচের স্থলাভিষিক্ত করা হয়। ২০১৪-১৫ মৌসুমে দিনেশ রামদিনের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ডিন এলগারের উইকেটসহ ২/৬৯ পান। এছাড়াও, দলের একমাত্র ইনিংসে শূন্য রানে রান-আউটে বিদেয় নেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
২৮ এপ্রিল, ২০১৪ তারিখে সেন্ট লুসিয়ায় অনুষ্ঠিত রিজিওন্যাল ফোর-ডে কম্পিটিশনে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস বনাম জ্যামাইকার মধ্যকার চূড়ান্ত খেলায় হ্যাট্রিক লাভ করেন। ৭৮টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২০.৩৭ গড়ে ২৩২ উইকেট দখল করেন। এক পর্যায়ে ডায়মন্ড ভ্যালি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে খেলেন। ইয়ুল্ডেন পার্কভিল ক্রিকেট ক্লাবের পুরুষ ও কিশোর দলের কোচ হিসেবে মনোনীত হন।
