২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৭ তারিখে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৭০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯৬৭-৬৮ মৌসুম থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রেখেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এ পর্যায়ে সাউথ অস্ট্রেলিয়া দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
১৯৭৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্ট ও সমসংখ্যক ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। উভয় ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষীয় দল ছিল সফরকারী নিউজিল্যান্ড দল। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে নিজ দেশে বেভান কংডনের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২৭ বছর বয়সে ২৬ জানুয়ারি, ১৯৭৪ তারিখে অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। জিওফ ডাইমক ও অ্যালান হার্স্টের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি একমাত্র ইনিংসে কিথ স্ট্যাকপোলের সাথে উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন। ৬৬ বল মোকাবেলায় ২৭ রান তুলেন এবং রড মার্শ ও ডগ ওয়াল্টার্সের বদৌলতে প্রথম ইনিংসে দলের ৪৭৭ রানের সংগ্রহে কিছুটা ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৫৭ রানে জয়লাভ করলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। এর পূর্বে ১৯৭১-৭২ মৌসুমে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলীয় একাদশের সদস্যরূপে বহিঃবিশ্ব দলের বিপক্ষে খেলেছিলেন। তবে, কোন খেলাতেই ঘরোয়া আসরের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারেননি। একই সফরের ৩১ মার্চ, ১৯৭৪ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওডিআইয়ে অংশ নেন।
১৯৭৪-৭৫ মৌসুমের পর থেকে নাটকীয়ভাবে তাঁর খেলায় ছন্দপতন ঘটতে থাকে। দুই বছরের মধ্যেই কার্যতঃ তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি ঘটে। এ পর্যায়ে তিনি ৩০ বছর বয়সী ছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে সাড়ে চার হাজারের অধিক রান ৩১ গড়ে সংগ্রহ করেছিলেন। কেবলমাত্র পাঁচটি শতরানের সন্ধান পেয়েছিলেন। ইনিংস উদ্বোধনে নির্ভরযোগ্যতার পরিচয় দিতেন।
বেন্ডিগোভিত্তিক লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ছিলেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। স্থানীয় ক্লাবে প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
