১৯ এপ্রিল, ১৮৮৫ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ১৯১০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯০৯-১০ মৌসুম থেকে ১৯২৯-৩০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। এ পর্যায়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে খেলোয়াড়ী জীবনে ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ৩০.০৭ গড়ে ১৬৭ উইকেট দখল করেন। নয়বার ৫-উইকেট ও একবার দশ-উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়াও, চারটি অর্ধ-শতক সহযোগে ১৮.১০ গড়ে ১২১৯ রান তুলেন।
প্রথম-শ্রেণীর খেলার উভয় ইনিংসের শেষ উইকেট জুটিতে শতরানের সংগ্রহের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। ডিসেম্বর, ১৯২৫ সালে ব্লোমফন্তেইনের র্যাম্বলার ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট বনাম ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের মধ্যকার খেলায় এ কৃতিত্বের সাথে নিজেকে জড়ান। প্রথম ইনিংসে ল্যান্সলট ফুলারের সাথে ১১৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ফ্রাঙ্ক কলফিল্ডের সাথে ১২৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
১৯১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯১৩-১৪ মৌসুমে নিজ দেশে জনি ডগলাসের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১ জানুয়ারি, ১৯১৪ তারিখে জোহানেসবার্গের ওল্ড ওয়ান্ডারার্সে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে অংশ নেন। সেস ডিক্সনের সাথে তাঁর একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। ০ ও ০* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১০-১-৪৫-০ এবং ১০-৩-২৪-০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ঐ টেস্টে সফরকারীরা ৯১ রানে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে, তাঁকে আর কোন টেস্টে খেলানো হয়নি। এমনকি, তিনি আর কোন ক্রিকেট খেলায় অংশ নেননি। এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। লিন্ডসে টাকেট নামীয় সন্তান দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছে। ৮ এপ্রিল, ১৯৬৩ তারিখে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের ব্লোমফন্তেইনে ৭৭ বছর ৩৫৪ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
