Skip to content

শামসুর রহমান

1 min read

৫ জুন, ১৯৮৮ তারিখে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ২০১০-এর দশকে বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

‘শুভ’ ডাকনামে পরিচিতি পান। ২০০৫ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে মধ্যাঞ্চল, ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোপলিসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাডেমি, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম, খুলনা টাইগার্স, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও রংপুর রাইডার্সের পক্ষে খেলেছেন।

১ জানুয়ারি, ২০০৫ তারিখে চট্টগ্রামে সফররত জিম্বাবুয়ীয় একাদশের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি একাদশের সদস্যরূপে খেলার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। ২০০৫-০৬ মৌসুমে খুলনা বিভাগের পক্ষে প্রথম খেলেন। এরপর, ২০০৬-০৭ মৌসুমে ঢাকা বিভাগের সদস্য হন। বাংলাদেশের পক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, একাডেমি দল ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলেরও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। অতঃপর, জাতীয় দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা পান।

২০০৪-০৫ মৌসুমে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সদস্য হন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রতিনিধিত্ব করে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।

২০১৭-১৮ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের শীর্ষ রান সংগ্রাহক ছিলেন। ১১ খেলায় অংশ নিয়ে ৪৫৮ রান পেয়েছিলেন। ২০১৮-১৯ মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে খেলোয়াড়দের খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর, অক্টোবর, ২০১৮ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। ২০১৮-১৯ মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ প্রতিযোগিতায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের সদস্য হন। ১১ খেলায় ৩৭৪ রান তুলে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হন। নভেম্বর, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ২০১৯-২০ মৌসুমের আসরে খেলার জন্য খুলনা টাইগার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তেমন ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন না করলেও দল নির্বাচকমণ্ডলীর আস্থার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। এ সুবাদে বাংলাদেশের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন।

২০১৩ থেকে ২০১৪ সময়কালে বাংলাদেশের পক্ষে ছয়টিমাত্র টেস্ট, ১০টি ওডিআই ও নয়টিমাত্র টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছেন। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতায় তাঁকে বাংলাদেশ দলের সদস্যরূপে ঠাঁই দেয়া হয়। তবে, কোন খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি। ঐ মৌসুমে ঘরোয়া একদিনের প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগের পক্ষে দূর্দান্ত খেলা উপহার দেন। পরবর্তী মৌসুমেও খেলার এ ধারা অব্যাহত রাখেন। এ পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৬৭ গড়ে রান পেয়েছিলেন। এরপর, দলের প্রধান দুই সদস্যের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে তাঁকে বাংলাদেশের টেস্ট দলে খেলার সুযোগ এনে দেয়।

২০১২-১৩ মৌসুমে দলের সাথে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ৩১ মার্চ, ২০১৩ তারিখে পল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত খেলায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি২০আইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ঐ খেলায় তিনি গোল্ডেন ডাক পান। ২০১৩-১৪ মৌসুমে নিজ দেশে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হন। ৩১ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। ফতুল্লায় একই দলের বিপক্ষে অন্যতম সেরা খেলা উপহার দেন। ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ঝড়োগতিতে ৯৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে স্মরণীয় জয় এনে দেন।

জানুয়ারি, ২০১৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৪৭ রান তুলেন। এ পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের মর্যাদা পায়। এর অল্প কিছুদিন পর বাংলাদেশের টেস্ট দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তাঁর দল ইনিংস ও ২৪৮ রানের ব্যবধানে পরাজিত হলে শ্রীলঙ্কা দল দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। তিনি ৩৩ ও ৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন।

চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নিজস্ব প্রথম শতরানের (১০৫) ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫ রান তুলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলেও প্রতিপক্ষ ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রান তুলতে পারেননি। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ব্রেন্ডন টেলরের নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ীয় দল বাংলাদেশ সফরে আসে। ৩ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে খুলনায় অনুষ্ঠিত সফররত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ২ ও ২৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিক দল ১৬২ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।