Skip to content

মুশফিকুর রহমান

1 min read

১০ জানুয়ারি, ১৯৭৭ তারিখে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রেফারি। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ২০০০-এর দশকে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

‘বাবু’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম থেকে ২০০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে রাজশাহী বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। রাজশাহীর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেয়ার সুযোগ পান।

২০০০ থেকে ২০০৪ সময়কালে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বমোট ১০ টেস্ট ও ২৮টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ২০০০ সালে নিজ দেশে ভারতের মুখোমুখি হন। ৩০ মে, ২০০০ তারিখে ঢাকায় সফররত ভারতের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জগতে প্রবেশ করেন।

টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তির শুরুরদিকে ২০০০-০১ মৌসুমে নাইমুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে জিম্বাবুয়ে সফরে যান। ১৯ এপ্রিল, ২০০১ তারিখে বুলাওয়েতে শুরু হওয়া ঐ টেস্টে মঞ্জুরুল ইসলাম ও জাভেদ ওমরের সাথে তাঁর একযোগে অভিষেক ঘটে। তবে, অভিষেক পর্বটি তাঁর জন্যে অবশ্য সুখকর হয়নি। ঐ টেস্টে ইনিংস ও ৩২ রানে এবং ২৬ এপ্রিল, ২০০১ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ৮ উইকেটে পরাজিত হয় বাংলাদেশ দল। উভয় টেস্টের কোনটিতে তিনি কোন উইকেটের সন্ধান পাননি কিংবা দুই অঙ্কের রানের কোটাও স্পর্শ করতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে, পরবর্তী দুই বছর তাঁকে দলের বাইরে থাকতে হয়।

২০০৩ সালে ব্যাটিং কৌশলে আরও পরিপক্কতা লাভ করে কোচ ডেভ হোয়াটমোরের পরিচালনায় নতুন যুগে এসে দলে পুণরায় যুক্ত হন। অক্টোবর, ২০০৩ সালে সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইনিংস খেলেন। এরপর থেকেই দলের অন্যতম খেলোয়াড়ে রূপান্তরিত হলেও কেবলমাত্র আর একটি বছর খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১০ ডিসেম্বর, ২০০৪ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন।

কোন শতক কিংবা অর্ধ-শতকের সন্ধান না পেলেও টেস্ট এবং ওডিআইয়ে যথাক্রমে ৪৬* ও ৪৯ করেছিলেন। উভয় স্তরের ক্রিকেটেই ৬টি করে ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান হিসেবেই মূলতঃ খেলেছেন এবং ক্লাব ক্রিকেটে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।