Skip to content

নরি কন্ট্রাক্টর

1 min read

৭ মার্চ, ১৯৩৪ তারিখে গুজরাতের গোধরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। ভারত দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

দাহুদ থেকে বোম্বে গমনকালে তাঁর মাতা অনুধাবন করেন যে, দ্রুত তিনি সন্তান প্রসব করবেন। রেলগাড়ী চালক কাকা জরুরীভিত্তিতে তাঁকে গোধরায় নামিয়ে দেন। সেখানেই নরি কন্ট্রাক্টরের জন্ম। নাসিকে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে বোম্বে দলে খেলার চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হন। কিন্তু, খেলার প্রতি অপরিসীম ভালোবাসার স্বীকৃতিস্বরূপ এক পর্যায়ে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন।

১৯৫২ সালে ১৮ বছর বয়সে বোম্বে ক্রিকেট সংস্থা দলের শক্তিমত্তা পরীক্ষা নিরূপণকল্পে সফররত পাকিস্তান দলের বিপক্ষে কয়েকটি খেলার আয়োজন করে। তিনি দুই কিংবা তিনবার সত্তর বা আশির কোটা স্পর্শ করেন। ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামের দোতলায় বসে জনৈক ভদ্রলোক সর্বশেষ খেলা শেষে তাঁকে গুজরাত দলের পক্ষে খেলার আমন্ত্রণ জানান। তাঁর ব্যাটিং লক্ষ্য করে গুজরাতের অধিনায়ক ফিরোজ খাম্বাতা আকৃষ্ট হন ও তাঁকে প্রস্তাবনা দিলে তিনি তা ফিরিয়ে দেন। তবে, বোম্বে থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর গুজরাত ক্রিকেট সংস্থায় টেলিগ্রাম পাঠান ও বরোদায় অনুশীলনে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ পান। জসু প্যাটেল ও শাহ ন্যালচাঁদের ন্যায় বোলারদের বিপক্ষে খেলে সকলকে মোহিত করেন। এরফলে, সম্ভাব্য খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হন।

ভারতীয় ক্রিকেটে অন্যতম জনপ্রিয় তারকা খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুম থেকে ১৯৭০-৭১ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রেখেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে গুজরাত ও রেলওয়েজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত আকস্মিকভাবে শেষ মুহূর্তে ঘটে। খেলা শুরুর পূর্বে সকালে গুজরাতের অধিনায়ক ফিরোজ খাম্বাতা আঘাতপ্রাপ্ত হলে তিনি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। এ সুযোগের পূর্ণাঙ্গ সদ্ব্যবহার ঘটাতে সচেষ্ট হন। অভিষেক খেলার উভয় ইনিংসেই শতক হাঁকান। বরোদার বিপক্ষে ঐ খেলায় ১৫২ ও ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। প্রথম ইনিংসে দলের সংগ্রহ ৭০/৪ থাকাকালে মাঠে নেমে দলের সংগ্রহকে ৩৬৪ রানে নিয়ে যেতে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন। ষষ্ঠ উইকেটে জ্যোতিন্দ্র শোধনের সাথে ২৪১ রানের জুটি গড়েন। বিজয় হাজারে’র বলে ১৫২ রানে বিদেয় নেন। বরোদা দল ২৪৬ রানে গুটিয়ে গেলে পাঁচ নম্বরে নেমে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর গুজরাত ইনিংস ঘোষণা করে। এরফলে, আর্থার মরিসের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এ গৌরবের অধিকারী হন। পরবর্তীকালে আমির মালিক, থারাঙ্গা ইন্ডিকা, নূর আলী জাদরান ও বিরাগ আয়াত তাঁদের সাথে যুক্ত হন। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে তাঁর দল জয়লাভ করে।

গুজরাতের পক্ষে ক্রমাগত সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন। ১৯৫৫ থেকে ১৯৬২ সময়কালে ভারতের পক্ষে সর্বমোট ৩১ টেস্টে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিজ দেশে হ্যারি কেভের নেতৃত্বাধীন কিউই মুখোমুখি হন। ২ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ তারিখে বোম্বের বিএসে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। সদাশিব পাতিল ও বিজয় মেহরা’র সাথে তাঁর একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরফলে, সর্বশেষ পার্সি ক্রিকেটার হিসেবে ভারতের পক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ছয়জন পার্সি ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, একমাত্র পার্সি ক্রিকেটার হিসেবে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, বিনু মানকড় ও সুভাষ গুপ্তে’র কল্যাণে ভারত দল ইনিংস ও ২৭ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়। এরফলে, স্বাগতিক দল পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

বিস্ময়করভাবে তাঁকে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত পরের টেস্টে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা হয়নি। ঘরোয়া আসরের ক্রিকেটে কখনো ইনিংস উদ্বোধনে না নামলেও তাঁকে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামানো হয়। বিজয় মেহরা’র সাথে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন। নিউজিল্যান্ডের সংগৃহীত ৪৫০/২ তুলে ইনিংস ঘোষণা করলে তিনি ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। পরের টেস্টেও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬১ রান তুলেন। তাসত্ত্বেও পঙ্কজ রায়কে তাঁর অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হয়। এ পর্যায়ে বিনু মানকড়ের সাথে ৪১৩ রানের রেকর্ডসংখ্যক রান উঠে।

১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হন। ওয়েস হলরয় গিলক্রিস্টের বিপক্ষে নিজেকে তেমন মেলে ধরতে পারেননি। কানপুরে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ৪১ ও ৫০ রান তুলেন। তবে, প্রথমবারের মতো ভারতের পক্ষে উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেন। দিল্লিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯২ রান তুলে পাদপ্রদীপে চলে আসলেও বস্তুতঃ ব্যাট হাতে ম্লান ছিলেন।

প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থেকেও নিজেকে সামলে নেবার সক্ষমতা তাঁর মাঝে ছিল। পরের বছর ১৯৫৯ সালে তাঁর দল ইংল্যান্ডের কাছে ধবল ধোলাই হয়। ব্রায়ান স্ট্যাদামের তোপে ব্যাটসম্যানদের নাকানিচুবানির মাঝেও তিনি অনঢ় ছিলেন। সন্দেহাতীতভাবে নিজের খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা ইনিংসগুলো খেলেন। ট্রেন্ট ব্রিজে ব্যর্থ হবার পর লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ব্রায়ান স্ট্যাদামের শর্ট বলে তাঁর দুইটি হাড় ভেঙ্গে যায়। তাসত্ত্বেও, দৃঢ়চিত্তে ব্যাটিং চালিয়ে যান ও অপরাজিত ৮১ রান তুলে ভারতের গুটিয়ে যাওয়া ১৬৮ রানে দারুণ ভূমিকা রাখেন। ফ্রেড ট্রুম্যান, ব্রায়ান স্ট্যাদাম ও অ্যালান মসের বলগুলো অপূর্ব দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেন। চতুর্থ বলেই শূন্য রান থাকাকালীন আঘাত পান। হাঁড়ে চির ধরার পরও দ্বিতীয় ইনিংসে আট নম্বরে নেমে ১১ রান তুলেছিলেন। ১০৮ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা খুব সহজেই অতিক্রম করে স্বাগতিক দল।

ঐ বছরের শেষদিকে অনবদ্য ইনিংসগুলো উপহার দেন। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে ভারত সফরে আসা প্রবল শক্তিধর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ৪৩৮ রান তুলেন। তন্মধ্যে, বোম্বে টেস্টে ব্যক্তিগত একমাত্র শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রান তুলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের প্রথম টেস্ট জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

অ্যালান ডেভিডসনের শর্ট পিচ বলে পুল মারলে লেগ অঞ্চলে দণ্ডায়মান নীল হার্ভে’র ক্যাচে পরিণত হন। দিল্লি টেস্টে ইনিংসে ১০৮ রান উপহার দেন। এটিই তাঁর একমাত্র টেস্ট শতক ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৪৩ রান তুলেন। ঐ সিরিজে ৪৩.৮০ গড়ে ৪৩৮ রান তুলেন। বিনু মানকড়ের অবসর গ্রহণের কারণে দলের ইনিংস উদ্বোধনে নিয়মিতভাবে নামতেন।

এক বছরের মধ্যেই তাঁকে নিজ দেশে ভারত দলকে নেতৃত্বের সুযোগ দেয়া হয়। মাত্র ২৬ বছর বয়সে ভারত দলের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৬০-৬১ মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি দলকে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব দেন। এরফলে, ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। নিজ দেশে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে কোন ফলাফল আসেনি। পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া ঐ সিরিজে তিনটি অর্ধ-শতকসহ ৫৩.১৬ গড়ে ৩১৯ রান তুলেন।

এরপর, ১৯৬১-৬২ মৌসুমে টেড ডেক্সটারের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ও প্রথম সিরিজ বিজয়ে ভারত দলকে নেতৃত্ব দেন। পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে তিনি নিজের সেরা ছন্দে অবস্থান করছিলেন। প্রথম তিন টেস্ট হাড্ডাহাড্ডি ড্র হবার পর সফরকারীদের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পায়। ব্যাট হাতে নিয়ে সিরিজে গড়পড়তা ভূমিকা রাখলেও জাতীয় বীরে পরিণত হন। দৃশ্যতঃ ভারত দল উপযুক্ত অধিনায়কের সন্ধান পায়। এক পর্যায়ে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হন।

এ সিরিজে নতুন উদ্বোধনী সঙ্গী হিসেবে এমএল জয়সীমাকে পান। এ সিরিজ চলাকালে ব্যাট হাতে নিয়ে তেমন সুবিধে করতে না পারলেও স্বাগতিক দল দ্বিতীয় টেস্টে ফলো-অনে পাঠাতে সক্ষম হয়। তিন টেস্ট ড্র হবার পর কলকাতায় দলের ১৮৭ রানের দারুণ বিজয়ে নেতৃত্ব দেন। মাদ্রাজ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। সেলিম দুরানি’র খেলায় দশ উইকেট নিলে ইংল্যান্ড দল ১২৮ রানের পরাভূত হয়। ভারত সিরিজ জয় করে ও দলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যান।

১৯৬২-৬৩ মৌসুমে ভারত দলের অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। সচরাচর বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হলেও প্রথম দুই টেস্টে পরাজিত হয়। চার ইনিংস থেকে তিনি মাত্র ২২ রান তুলতে পেরেছিলেন। এরপর বার্বাডোসের বিপক্ষে চার-দিনের খেলায় অংশ নেয় ভারতীয় একাদশ। রুসি সূর্তি দলনায়ককে চার্লি গ্রিফিথের বল ছুঁড়ে মারার বিষয়টির দিকে সতর্ক থাকার কথা বলেন। তিনি তা কর্ণপাত না করে খেলতে থাকেন। ঐ খেলায় পেসার চার্লি গ্রিফিথ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদেরকে লক্ষ্য করে শর্ট বল মারতে থাকেন। স্কয়ার-লেগ অঞ্চলে দণ্ডায়মান কনরাড হান্টের হাত থেকে ফস্কে গেলে রক্ষা পান। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ শর্ট বলে মাথায় গুরুতর আঘাত পান ও শূন্য রানে বিদেয় নেন। তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে লুটিয়ে পড়েন। নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।

প্যাভিলিয়ন থেকে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মাথার খুলিতে ফাটল ধরে। কয়েকদিন অচেতন ছিলেন। সঙ্কটময় অবস্থায় দুইবার জরুরী অস্ত্রোপচার করতে হয়। এছাড়াও, রক্তের প্রয়োজন পড়লে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ফ্রাঙ্ক ওরেল প্রথম তাঁকে রক্তদান করেন। উভয় দল থেকেই রক্তদান করা হয়। লোহার পাত প্রবেশ করানো হয়। প্রাণে রক্ষা পেলেও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্তির কারণে অকালেই তাঁর আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবনের অকাল সমাপ্তি রেখা টানতে হয়।

পরবর্তীতে এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি মন্তব্য করেন যে, ঐ আঘাতের পর তিনি কেবলমাত্র একটি টেস্টে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে, অন্যরা তাঁকে খেলাতে চায়নি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে থাকেন। দলে ফেরার চেষ্টা চালালেও আর তাঁকে ভারতের পক্ষে খেলানো হয়নি। এ সময়ে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৮।

৭ মার্চ, ১৯৬২ তারিখে কিংস্টনের সাবিনা পার্কে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ১ ও ৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিক দল ইনিংস ও ১৮ রানে জয় পেয়ে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

সব মিলিয়ে টেস্টগুলো অংশ নিয়ে ৩১.৫৮ গড়ে একটি শতক ও ১১টি অর্ধ-শতক সহযোগে ১৬১১ রান তুলেছিলেন। আঘাতের পরও ক্রিকেট ছেড়ে দেননি। এক বছরের মধ্যেই মহারাষ্ট্র মূখ্যমন্ত্রী একাদশের সদস্যরূপে মহারাষ্ট্র গভর্নর একাদশের বিপক্ষে খেলেন। অত্যন্ত শক্তিধর বোলিং আক্রমণ রুখে দিয়ে ৩৭ রান তুলেন। পরের মৌসুমে রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় বোম্বের পক্ষে খেলেন। দারুণ খেলে দীলিপ ট্রফিতে জায়গা করে নেন। ইস্ট জোনের বিপক্ষে ১৪৪ রান তুলেন।

ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে পর্যাপ্ত সফলতা নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। আঘাত পরবর্তী আরও নয় মৌসুম ঘরোয়া আসরের ক্রিকেটে অংশ নেন। এ পর্যায়ে ৫ শতক সহযোগে ৩৮.৪১ গড়ে ২৫৩৫ রান সংগ্রহ করেন। তবে, ভারতের পক্ষে আর টেস্ট খেলার জন্যে বিবেচনায় আসেননি। সব মিলিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩৯.৮৬ গড়ে ২২ শতক সহযোগে ৮৬১১ রান তুলেছেন।

২০০৭ সালে ভারতীয় ক্রিকেটে অনবদ্য ভূমিকা প্রদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সি. কে. নায়ড়ু আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন। অবসর গ্রহণের পর ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া একাডেমির কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯০ সালে ৫৬ বছর বয়সে দিল্লি বিমানবন্দরে ইচ্ছেকৃতভাবে মাথায় ধাতব নির্দেশক যন্ত্র দিয়ে মাথা পরীক্ষা করালে দীর্ঘ সময় পুলিশ বিভ্রান্তিতে পড়ে। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। এইচএন কন্ট্রাক্টর নামীয় তাঁর পুত্র সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তিনি মুম্বইয়ে বসবাস করছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।